Rony's Tour Info
রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮
বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
কক্সবাজার
কক্সবাজার
চট্টগ্রাম থেকে ১৫৯ কি.মি. দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে কক্সবাজার জেলার অবস্থান। পাহাড়, সাগর, দ্বীপ, নদী ও সমতল ভূমির এক অনন্য মিলন মোহনা এ ককসবাজার। এ জেলায় রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত যার দৈর্ঘ্য ১২০ কি.মি এবং এটি একটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর স্থান। কক্সবাজার জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলা ও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নাফ নদী এবং মায়ানমার, দক্ষিন-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। এ জেলার আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কি.মি.।
cox's bazar |
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও বিমান সকল পথেই কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪৪০ কি.মি.। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার রুটের বাসগুলো ছেড়ে যায়। তবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর, মতিঝিল ও আরামবাগ থেকে অধিকাংশ বাস ছেড়ে যায়।এই রুটে এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের বাস রয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী উল্লেখযোগ্য পরিবহনগুলোর মধ্যে রয়েছে – গ্রীন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া, এস.আলম. পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ বাহাদুর, সেন্টমার্টিন প্রভৃতি। এছাড়া আরও কিছু পরিবহনের বাস এই রুটে চলাচল করে।
পরিবহনের নাম
|
ভাড়া
|
যোগাযোগ
|
গ্রীন লাইন |
১,৪০০/- (ভলভো)
১,৮০০/- (স্ক্যানিয়া)
|
০২- ৭১৯২৩০ |
হানিফ এন্টারপ্রাইজ |
৭০০/- (নন-এসি)
১,৭০০/- (এসি)
|
০১৭১৩-৪০২৬৭৩, ০১৭১৩-৪০২৬৮৪ |
শ্যামলী পরিবহন |
৭০০/- (নন-এসি)
১,১৫০/- (এসি)
|
০২- ৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ |
সোহাগ পরিবহন |
১,৫২৫/ (এসি)
|
৭১০০৪২২ (আরামবাগ),৯১৩২৩৬০ (কমলাপুর),৮০৫৫৯০২ (কল্যাণপুর) |
সৌদিয়া পরিবহন |
৭০০/- (নন-এসি)
১,৬০০/- (এসি)
|
নন-এসি: ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৬ (সায়েদাবাদ), ০১৯১৯-৬৫৪৮৬৩ (গাবতলী), ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৯ (কমলাপুর) এসি: ০১৯১৯-৬৫৪৯২৮ (কল্যাণপুর), ০১৯১৯-৬৫৪৯২৯ (সায়েদাবাদ) |
এস.আলম পরিবহন |
৭০০/- (নন-এসি)
|
০২-৮০৫৫৮৫১, ০১৮১৯৭২০৩৯৫ (গাবতলী),০২-৮৩১৫০৮৭, ০১৯১৭৭২০৩৯৫ (কমলাপুর) |
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনসমূহ
- মহানগর প্রভাতী
- তূর্ণা নিশীথা
- মহানগর গোধুলী এক্সপ্রেস
- সুবর্ণ এক্সপ্রেস
যোগাযোগ
কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd
আকাশ পথে
ঢাকা
থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে বিমান যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট প্রতিদিন
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে।
ফ্লাইট
|
দিন
|
ছাড়ার সময়
|
পৌঁছানোর সময়
|
ঢাকা থেকে কক্সবাজার
|
|||
4H-0511
|
প্রতিদিন
|
১৩.০০
|
১৪.০০
|
ফ্লাইট
|
দিন
|
ছাড়ার সময়
|
পৌঁছানোর সময়
|
কক্সবাজার থেকে ঢাকা
|
|||
4H-0512
|
প্রতিদিন
|
১৪.২০
|
১৫.২০
|
ভাড়া
গন্তব্য
|
ভাড়া শুরু
|
|
ওয়ানওয়ে
|
রিটার্ন
|
|
ঢাকা থেকে কক্সবাজার
|
BDT 4825
|
BDT 9750
|
ঠিকানা এবং অবস্থান
কর্পোরেট অফিস/উত্তরা অফিস উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা) ১ জসীমুদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ। ফোন: ৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২ ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯ ওয়েব: www.uabdl.com ইমেইল: info@uabdl.com |
ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ। ফোন: ৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১। মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৬০ |
গুলশান সেলস অফিস তাহের টাওয়ার শপিং সেন্টার প্লট নং ১০, উত্তর গুলশান, গুলশান ২, ঢাকা, বাংলাদেশ। ফোন: ৮৮৫৪৭৬৯, ৮৮৫৪৬৯৭, ৮৮৬১৯৩৫ মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৫৯ |
কাওরান বাজার সেলস অফিস দোকান নং ৩, লেভেল ২ ইউনিক ট্রেড সেন্টার (ইউটিসি) ৮ পান্থপথ, কাওরান বাজার, ঢাকা, বাংলাদেশ। ফোন: ৯১৩৮২৩৮, ৮১৫৮০৪৬ মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৫৮ |
পল্টন সেলস অফিস অরিয়েন্টাল ট্রেড সেন্টার (৩য় তলা) ৬৯/১ পুরানা পল্টন লাইন ঢাকা, বাংলাদেশ। ফোন: ৯৩৫২৬৪৮, ৯৩৫২৬৪৭ মোবাইল: ০১৭১৩-৪৮৬৬৫৭ |
দর্শনীয় স্হান:
কক্সবাজারের
প্রধান আকর্ষন হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জাঁকজমক হচ্ছে লাবনী বিচ এলাকা।
পরিস্কার ঝকঝকে পরিবেশ আর নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। বিচের তীর ঘেষে
রয়েছে ইজি চেয়ারে শোবার ব্যাবস্হা। চা-কফি-ডাব-মুড়ি-বাদাম সবই পাওয়া যায়
এখানে কিন্তু কোন কিছু নিচে ফেলা যাবে না। এছাড়া স্পীডবোট, বিচকার, ঘোড়ায়
চড়ার ব্যাবস্হা এসব তো রয়েছেই। তবে বিচে সবচেয়ে বিরক্তিকর পেশাদার
ফটোগ্রাফারদের উৎপাত।
এছাড়া
একটু দূরে ইনানী বিচের সৌন্দর্যও অবশ্যই প্রশংসনীয়। এখানে পানির মধ্যে
রয়েছে বড় বড় সব পাথর। ভাটার সময় তাই উকি দেয়া পাথরই সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তোলে
এখানকার। ইনানী বিচের লাল ডাবের স্বাদই অন্যরকম। ইনানী যাবার পথে দীর্ঘ
সি-ড্রাইভ অবশ্যই মুগ্ধ করবে আপনাকে। রাস্তার একদিকে পাহাড় আর অন্যদিকে
সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পুরোটা পথ সঙ্গ দিবে আপনাকে।
ইনানী
বিচে যাবার পথেই দেখা মেলে হিমছড়ির এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এক ঝর্না। সিড়ি
বেয়ে অনেক উঁচু পাহাড়ে উঠে কক্সবাজারের ভিউ দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে।সিড়ি
দিয়ে উঠতে প্রথম দিকে মনে হয় এতো অল্প, পরে যেন ওঠার পথ আর শেষ হতে চায়
না। অবশেষে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিমোহিত হয়ে যেতে হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দেখে।এছাড়াও এখানে ছোট মার্কেট ও সুন্দর করে সাজানো বিচ রয়েছে যা পর্যটকদের
অন্যতম আকর্ষন।
এই পথেই রয়েছে সামুদ্রিক জীব-জন্তুর মিউজিয়াম।বেশ কিছু কমন-আনকমন জীবিত-মৃত প্রানী রয়েছে তাদের সংরক্ষনে।
কক্সবাজারের
মহেশখালী বেশ সুন্দর একটা জায়গা।এখানে খুঁজে পাওয়া যায় অন্যরকম প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য। তবে এখানকার রিক্সা চালকেরা ধান্দাবাজ। ভাড়া মিটাতে গেলে বলে
আপনি খুশি হয়ে যা দিবেন তাই মাথা পেতে নেবো, কোন অসুবিধা নাই।অথচ শেষে
বিপদে ফেলবে অনেক টাকা ভাড়া চেয়ে। তাই আগে থেকেই ভাড়া মিটিয়ে নেয়া ভালো।
একদম মাঠে শুকানো তরতাজা শুটকি পাওয়া যায় এখানে।শুটকির ফিল্ড ছাড়াও এখানে
রয়েছে লবনের ফিল্ড।এখানকার মিষ্টি পান অতি বিখ্যাত।
কক্সবাজারে
বেড়াতে এসেছেন অথচ টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাবেন না এটা কেমন কথা।
কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে সারাদিনই টেকনাফ-কক্সবাজার যাওয়া-আসার বাস
রয়েছে। অনেকে মাইক্রোবাস সার্ভিসেও যাতায়াত করেন। টেকনাফ যেন প্রাকৃতিক
রুপ-সৌন্দর্যের পুরোটায় কেড়ে নিয়েছে। এখানকার সমুদ্র সৈকত সম্পূর্ন
নীলাভ।এতো সুন্দর তা ভাষায় প্রকাশ করে বলা যায় না।টেকনাফের আরেক সৌন্দর্য
নাফ নদীতে।এখানে গেলে সুইজারল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ডের দেখা প্রাকৃতিক
ছবিগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।এখানে আরও রয়েছে মনোমুগ্ধকর এক ঝর্না আর উঁচু
পাহাড়ের সাথে রয়েছে বন্যপ্রানীদের অবাধ বিচরন। এই পাহাড়ে রয়েছে বন্য হাতীও।
অল্প খরচে কক্সবাজার ও বান্দরবান ভ্রমণ
আপনারা
যারা অল্প খরচে কক্সবাজার, বান্দরবন ঘুরতে চান, তাদের জন্য এখানে কিছু
তথ্য দেয়া হলো। আপনারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার না গিয়ে নামবেন
‘চকরিয়া’। চকরিয়া কক্সবাজার জেলার একটা থানা ও উপজেলা। যার অবস্থান
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে চট্টগ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার। চকরিয়া থেকে
কক্সবাজার এর দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার।
চকরিয়া
বাসস্ট্যান্ডেই থাকার হোটেল পাবেন, যার ভাড়া হবে কক্সবাজারের হোটলের
তিনভাগের একভাগ। তিন বেডের রুমের ভাড়া হবে ২৫০-৩০০ টাকা মাত্র, কক্সবাজারে
এর ভাড়া কমপক্ষে ১,০০০ টাকা। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ভাড়া ৪৫০ টাকা আর
চকরিয়ার ভাড়া ৪০০ টাকা।
সুবিধা সমূহঃ
চকরিয়াতে
অবস্থান করলে আপনি তিনটি জেলার মাঝামাঝি অবস্থান করছেন। সকালে বের হয়ে
যেতে পারেন বান্দরবনের ‘লামা’র ’পর্যটন মিরিঞ্জা’ স্পট। চকরিয়া বাস স্টেশন
থেকে জীপে যেতে পারেন। দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার সময় নেবে ২৫-৩০ মিনিট। জীপে
উঠার ১০ মিনিটের মধ্যে শুরু হবে পাহাড়ী উঁচু-নীচু পথ। পাহাড়ের চুড়া দিয়ে
যখন জীপ চলবে নীচে তাকালে মনে হবে ৩০ তলা বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে গাড়ী চলছে
ছাদের কোন রেলিং নেই। লামা দেখে যেতে পারেন আলী কদম। লামা থেকে ৩৫
কিলোমিটার। আলী কদমে আলীর সুড়ং দেখতে পারেন। তবে পাহাড়ী পথ শুধুমাত্র লামা
পর্যন্তই।
সকাল
৯ টায় বের হলে ২ টার মধ্যে চকরিয়া ফিরে আসতে পারবেন লামা-আলী কদম ঘুরে।
সাড়ে চারটায় বেরিয়ে যেতে পারেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস স্টেশন থেকে ৫-১০
মিনিট পর পর বাস পাবেন ভাড়া নেবে ৫০-৬০ টাকা করে। সময় নেবে সর্বোচ্চ ১
ঘন্টা। সমুদ্র দর্শন শেষে আবার চলে আসতে পারেন চকরিয়াতে। অবশ্য যারা সকালে
সুর্যোদয়ের সময় সমুদ্র তীরে থাকতে চান তাদের জন্য এ সুযোগ নয়। চকরিয়া থেকে
বান্দরবান যেতে পারেন সহজেই। চকরিয়া বাস স্টেশন থেকে পূবালী/পূর্বানী বাস
আছে এক ঘন্টা পর পর। ভাড়া ৯০ টাকা। নামতে পারেন পর্যটন স্পট ‘মেঘলা’। মেঘলা
থেকে বের হয়ে বান্দরবান শহর ঘুরে দেখে এসে রাতে চকরিয়া থাকতে পারেন। এতে
মোটামুটি অল্প খরচে কক্সবাজার আর বান্দরবান ঘুরে আসতে পারেন।
থাকার ব্যবস্থা:
নাম
|
ঠিকানা ও যোগাযোগ
|
সী হ্যাভেন গেস্ট হাউজ |
ব্লক – এ, হাউজ – ৬৭, কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০১৭২৬-৫১৯৩২৩, ০১৮১৮৫৯৪০২৫ |
উর্মি গেস্ট হাউজ |
কলাতলী রোড, সী বীচ এরিয়া, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৪১২১, ০১৮১৯-০৮২৭৭২ |
সী হিল গেস্ট হাউজ |
সী বীচ আবাসিক এলাকা, কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৩০৮৮, ০৩৪১-৬২৭৭৭, ০১৮১৫-০৭৫৬৯৮ |
বীচ হলিডে গেস্ট হাউজ |
কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০১৫৫৩৬০০০৫৩, ০১৮১৬-২২৭৩৯৫ |
সী কিং গেস্ট হাউজ |
কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৫১২১৯, ০১৮১৮-৮৫৮০৪৪ |
ব্লু ওসেন |
কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৩২০৭, ০৩৪১-৬২১৩৫, ০১৭১১-৭৮৫৩৮১ |
হোটেল সী প্যালেস (৫ স্টার) |
ঢাকা অফিস: নুরজাহান টাওয়ার (৩য় তলা), ২ লিংক রোড, বাংলামোটর, ঢাকা। ফোন: ৯৬৭২৮৭৬, ০১৮১৯-৮০৮৮৪২, ০১৯১৩-৩৮০৮৪৭ |
হোটেল সী গাল (৫ স্টার) |
ঢাকা অফিস: হোয়াইট হাউস হোটেল, ১৫৫, শান্তিনগর, ঢাকা। ফোন: ৮৩২২৯৭৩-৬ Email: seagullhotelcox@gmail.com Web: http://www.seagullhotelbd.com |
হোটেল প্রাসাদ ওরাডাইস (৩ স্টার) |
ঢাকা অফিস: হাউজ – ২ই, রোড – ২৯, গুলশান – ১, ঢাকা। ফোন: ৮৮১৭৪০০, ৮৮১০০৫৩, ০১৫৫৬-৩৪৭৭২২ কক্সবাজার অফিস: প্লট – ৯, রোড – ১, হোটেল মোটেল জোন (নিউ বীচ রোড), কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৪৪০৩, ০১৫৫৬৩৪৭৭১১ Email: info@praasadcox.com Web No.: http://www.praasadcox.com |
হোটেল সী ক্রাউন (৩ স্টার) |
মেরিন ড্রাইভ, কলাতলী, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৪৭৯৫, ৬৪৪৭৪, ০১৮১৭-০৮৯৪২০ E-mail: info@hotelseacrown.com Web: http://www.hotelseacrown.com |
হোটেল কল্লোল (আবাসিক) |
হোটেল মোটেল জোন, কল্লোল পয়েন্ট, সী বীচ রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৬৪৭৪৮, ০১৭২৭-৬১৩২৫৮, ০১৮১৯-৫৪৮৪৩৪ E-mail : info@hotelkollol.com Web: http://www.hotelkollol.com |
হোটেল সী আলিফ |
কলাতলী রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৪১-৫১২৫৩, ০১৭১৫-৭৫৫১১২ |
হোটেল মেরিন প্লাজা |
প্লট – ১২, ব্লক – বি, কলাতলী মেইন রোড, কক্সবাজার। ফোন: ০৩৫১-৬৪১৪৬, ০১৭১৬-৭৪২৪৬৪ Email: hotelmarineplaza@yahoo.com |
প্রিন্স হ্যাভেন হোটেল |
নাহার গার্ডেন ট্যুরিজম, হোটেল দিপ প্লাজা, মেইন রোড, টেকনাফ, কক্সবাজার। ফোন: ০১৭১৩-৪০৯৭৯৭ |
হোটেল স্বপ্ন প্রোবাল |
পশ্চিম পারা, নারিকেল জিনজিরা, সেইন্ট মার্টিন, টেকনাফ, কক্সবাজার। ফোন: ০১৮২০-২২৬৭৬৫ |
রেইড গেস্ট হাউজ |
নারিকেল জিনজিরা, সেইন্ট মার্টিন, টেকনাফ, কক্সবাজার। ফোন: ০১৮১৬-৫৫৭৪৫৫, ০১৮১৮-৫৯৩৩৯৬ |
হোটেল স্বপ্ন বিলাস |
সেইন্ট মার্টিন মেইন রোড, নারিকেল জিনজিরা, টেকনাফ, কক্সবাজার। ফোন: ০১৮১১-৮০১৩৬১, ০১৭২৪৪৩৮৪৩৭ |
রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫
Darjiling
About Darjeeling
So how do you define the place
Darjeeling?
In short, it's all about magnificent
views of snowcapped Kanchenjunga, torrents flowing down the mountain slopes,
lovely tea gardens, landscapes with firs, pines & ferns, and all that
combined with friendly people and modern yet colonial charm.
You can find about 4000 different
types of flowering plants in Darjeeling district including rhododendrons,
orchids, magnolia etc, there are some 300 types of ferns including the rare
fern trees, and if you care to go around the forested land, you can see some
amazing animal life like red pandas, pangolins, yellow throated martens,
barking deer as well as leopards and even elephants in their natural
habitats.
And of course if your vacation plan
is to relax, enjoy food, shopping and do sightseeing, the friendly natives like
the Nepalis, Tibetans and Lepchas will make you feel perfectly at home as you
enjoy the fabulous weather and charm of the place.
Why the name Darjeeling?
Did it ever strike you in the first
place how the name Darjeeling was coined? Well there are several stories behind
the name. The most popular is the one that says that Observatory Hill (located
behind the Mall) which is the highest point in Darjeeling town, attracted lots
of lightning and thunders. This is particularly so during the monsoon season.
The word 'Dorji' in Tibetan means 'Thunderbolt' and 'Ling' means 'Place'.
Therefore Darjeeling was so named to mean 'The place of thunderbolt'.
Another story says that the Tibetan
monks built a monastery atop the Observatory Hill in 1763. The name of the
chief monk of the monastery was Rinzing Dorji Legden La. The Tibetans named the
place after him... Dorji-Ling meaning 'Place of Dorji', and hence the name Darjeeling.
In Sanskrit, the word "Durjay
Ling" means "Shiva of invincible prowess who rules the
Himalayas." The name Darjeeling could have also been derived from
this.
Location of Darjeeling
Darjeeling is part of the state of
West Bengal in India and located at the northern part of the state. The red
marker in the map shows the location of Darjeeling town. You can expand the map
and take a closer look of the place. If you are looking for the coordinates
(i.e. Latitude and Longitude) of Darjeeling, it is: 27°3'N 88°16'E.
As you can see in the map,
geographically Darjeeling is bounded on its north by the state of Sikkim, on
its east by Bhutan and on its west by Nepal. It's standing on a narrow ridge
that juts out to the vast basin of the grand Himalayas. From a vantage point in
Darjeeling, you get the best views of Himalayan snow peaks towards north and
north east.
Area and Altitude of
Darjeeling
Darjeeling is actually a widespread
district although the popular Darjeeling hill town is the nucleus of the place.
While the hill town is quite small (about 4 square miles or 10.4 square
kilometers), the district spans across some 1,215 square miles of area (i.e.
about 3,149 square kilometers). The district includes the town of Darjeeling,
Kurseong subdivision, Kalimpong subdivision, Mirik and the terai region (lower
plains) among other areas. But commonly by 'Darjeeling', one means the
Darjeeling hill town.
The average altitude of Darjeeling
Town is 6,710 ft (i.e. about 2,045 meters). However while approaching
Darjeeling by road or toy train, you will need to cross the highest point of
the route at Ghoom (7407 ft or 2226 meters). However the
highest point or the summit in the whole of Darjeeling district is Sandakphu (close to 12,000 ft) which also happens
to be the highest altitude point in the whole of West Bengal.
How Darjeeling town is laid
out
The layout of Darjeeling town can be
visualized as having three landing areas or levels. And each level is connected
to the other by steep narrow roads.
Chowrasta Mall which is often known as the Town
Center, is located at the top level. The top level is therefore the most
coveted area for the tourists. This is where most popular hotels, restaurants
and shops are located. You won't get a 3D map of a place, so it may be a bit
difficult to comprehend the levels. However in Darjeeling Map, you can see the Mall and the
surrounding area. The top level is essentially the whole of Nehru Road which
leads up to the Mall, the Mall Road itself, and a part of Gandhi road. Although
the area along Zakir Hussain Road which originates from the Mall and goes
uphill towards the famous St. Pauls School is also part of the top level, but
being further off from the town center, the tourist demand for this area is not
as much. There are however several hotels that have come up along Zakir Hussain
Road. Many hotels at the top level offer great views of the Kanchenjunga snow
peaks.
The second level is essentially the
area along Laden La Road which goes down and connects the top level with places
like station area, Chowk Bazaar etc at the bottom level. Other areas in second
level includes the places along HD Lama Road, Robertson Road etc. Here too you
will find several popular hotels and shops, but not as expensive as some of
those at the top level. In this middle level, you will find many Indian styled
hotels and shops, some offering nice views.
The Lepchas and Bhutias. Towards
south the area extends up to the Darjeeling Station and towards north up to
North Point (St Joseph's College) and Lebong. You will get several budget
hotels in this area although none can actually offer good views of the peaks.
From the lowest level you can walk up to the top level, it takes about 30
minutes of tedious uphill walk.
More about Darjeeling...
Weather in Darjeeling
Weather comes with different faces
in Darjeeling and each has its unique charm. But one thing which the place
offers consistently is respite from the heat and dust. Summer is pleasant,
while winter is cold but offers great visibility and monsoon comes with lots of
rains, mist & fog.
lowest level or the bottom level is
where the popular Chowk Bazaar or Lower Bazaar is located. The area
is always crowded and humming with locals comprising mostly of Nepalese,
Tibetans,
How to reach Darjeeling
Many who come from outside West
Bengal wonder if Darjeeling has an airport or a railway station by itself.
While Darjeeling does have a small railway station for narrow gauge toy trains,
those mountain trains only operate between New Jalpaiguri (the nearest major
railway station) and Darjeeling. The nearest airport is at Bagdogra. So even
after you reach the nearest railway station or the airport, there is still some
distance (about 90kms uphill road route) to cover to reach Darjeeling.
History & Development of Darjeeling
History of Darjeeling dates back to
1700s when it was part of Sikkim under the Raja. It was later taken over by the
Gorkhas from Nepal. The Britsh restored Sikkim from the Nepalese in early 1800s
and carved Darjeeling out of Sikkim to create a sanitarium (or a health resort)
for the British troops and Europeans. But the real development of the area
started only in 1866 when Darjeeling made steady progress in the area of
agriculture, communication, education and power.
People & Culture of Darjeeling
Immigrants from many neighboring
states and countries have settled down in Darjeeling district. While majority
of the population are Nepalis, there are many Tibetans, Lepchas and Bengalis as
well. Different religions and faiths are followed in Darjeeling including
Hinduism (Nepalis are mostly Hindus), Buddhism (Tibetans are mostly Buddhists),
and also Christianity. It's an amazing world out there in the hills and so
different from the rest of the state of West Bengal.
Festivals in Darjeeling
With large diversity in origins, the
festivals celebrated by residents of Darjeeling also vary widely and follow
their unique customs. And festivities and festive celebrations remain integral
part of the lives of people in Darjeeling all through the year.
Local Food & Beverages
Diversity of culture and origins of
the residents who migrated from the neighboring places like Nepal, Tibet,
Sikkim, lower plains etc are prominently reflected in the ethnic or local food
& beverages that you get in Darjeeling. While the popular restaurants
serve usual food to cater to tourists, if you want to taste the original food
like the Nepali thali, Darjeeling's original pickles, snack items like momos,
or Tibetan items like Thukpa, you will need to find the proper places.
Darjeeling Tea - History, Estates, Industry, Tourism
It's an amazing story why the
British had to find an alternative place to grow quality tea and then chose
Darjeeling as the place. Darjeeling tea has become an industry by itself. Know
about its story, what are the different types tea, how it's processed, the
great tea estates and how can you tour them, best stores to buy Darjeeling tea
and finally how to make a cup of such tea.
Darjeeling Himalayan Railway - History and Current state
It's a saga that dates back to 1800s
when the mountain railway in Darjeeling was conceived by the Royal engineers.
They created what is recognized as engineering marvels in those days and
introduced a narrow gauge railway (popularly known as the Toy Train) which
provided an all important communication between the plains and Darjeeling
hills. Know about the story of DHR, its route, the journey, how and when the 12
small mountain stations were created and more.
Teesta - A main river in Darjeeling
The meandering mountain stream
Teesta originates from the glaciers and lakes of Sikkim Himalayas and then
flows down through Darjeeling, other parts of West Bengal before entering
Bangladesh. This section is about the course of Teesta, its main tributaries in
Darjeeling district, the best view points along its course, the bridges built
over the river and more with great pictures.
Animal & Bird Life of
Darjeeling
Vegetation of Darjeeling
Luxury Tourism & Its Future in Darjeeling:
What does the future store for luxury tourism in Darjeeling? Does the hill town
that was once well established in the luxury segment way back in the colonial
days still hold the same charm and vibe for the visitors looking for luxury
tourism? Check out the link above for a discussion that was triggered by a
viewer of this website.
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সিলেট ভ্রমন - ১ ( জাফলং ভোলাগঞ্জ লালাখাল )
আবহমান কাল ধরে সিলেট পর্যটকদের
কাছে অতি প্রিয় একটি নাম। সিলেটের পথে প্রান্তরের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে প্রাচীন ঐতিহ্য।
হযরত শাহজালাল(রঃ) ও হযরত শাহপরাণ(রাঃ) এর স্মৃতি বিজরিত এ পূন্যভুমিতে দেশে
বিদেশি ভক্তকুলের আগমন ঘটে। মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের বাড়ী এবং জৈন্তপুরের প্রাচীন
রাজবাড়ীর ধংস্বাবিষেশ, জৈন্তারাজার কাহিনী এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এক অমূল্য সম্পদ।
ধমীর্য় গুরুত্বের দিক হতে সিলেটে যে রকম অন্যন্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও তেমনি। সিলেটের পিয়াইন নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা জাফলং এর
অপূর্ব সৌন্দর্য বিমহিত করে পর্যটকদের। সারি নদীর ধার ঘেষে লালাখাল এর স্বচ্ছ জলরাশির
প্রেমে পড়তে যেকোন মানুষ বাধ্য। ভোলাগঞ্জ এর পাথরকোয়ারীর অপরুপ রুপে যেকোন পর্যটক আনন্দ
পেতে পারে। উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালনীছাড়া পর্যটকদের কাছে আরেক বিশ্ময়। এ ছাড়াও
সুরমা নদীর উপরে ক্বীন ব্রীজ না দেখলে সিলেট ভ্রমন অনেকটাই খালি থেকে যায়।
দর্শনীয় স্থানের তালিকাঃ
১। জাফলং ২। ভোলাগঞ্জ ৩। লালাখাল ৪। তামাবিল 5। হাকালুকি হাওড় 6। ক্বীন ব্রীজ 7। হযরত
শাহজালাল(রাঃ) ও হযরত শাহ পরাণ(রাঃ) এর মাজার শরীফ 8। মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের
বাড়ী 09। হাছন রাজার মিউজিয়াম 10। মালনী ছড়া চা বাগান ১১। এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর
১২। পর্যটন মোটেল। ১৩। জাকারিয়া সিটি ১৪। ড্রিমল্যান্ড পার্ক ১৫। আলী আমজাদের ঘড়ি ১৬। জিতু মিয়ার বাড়ী ১৭। মুনিপুরী
রাজবাড়ি। ১৮। মুনিপুরী মিউজিয়াম ১৯। শাহী ঈদগাহ ২০।ওসমানী শিশু পার্ক
জাফলং
প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে
এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে
করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায়
প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি,উঁচু পাহাড়ে
গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব
দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও
জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক
পরিচিত। ভ্রমন পিয়াসীদের কাছে জাফলং এর আকর্ষণই যেন আলাদা। সিলেট ভ্রমনে এসে জাফলং
না গেলে ভ্রমনই যেন অপূর্ণ থেকে যায়।
সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার
উত্তর পূর্ব দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং এর অবস্থান। জাফলংয়ে শীত ও বর্ষা মওসুমের
সৌন্দর্যের রুপ ভিন্ন। বর্ষায় জাফলং এর রুপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে উঠে। ধূলি
ধূসরিত পরিবেশ হয়ে উঠে স্বচ্ছ। স্নিগ্ধ পরিবেশে শ্বাস-নি:শ্বাসে থাকে ফুরফুরে ভাব।
খাসিয়া পাহাড়ের সবুজাভ চূড়ায় তুলার মত মেঘরাজির বিচরণ এবং যখন-তখন অঝোরধারায় বৃষ্টি
পাহাড়ি পথ হয়ে উঠে বিপদ সংকুল-সে যেন এক ভিন্ন শিহরণ। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার ফুট উপর
থেকে নেমে আসা সফেদ ঝর্ণাধারার দৃশ্য যে কারোরই নয়ন জুড়ায়।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়,
হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি। ১৯৫৪ সালে জমিদারী
প্রথা বিলুপ্তির পর খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। তারপরও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের
বিস্তীর্ণ অঞ্চল পতিত পড়ে রয়েছিল। ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌ পথে জাফলং আসতে শুরু
করেন। পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় গড়ে উঠে নতুন জনবসতিও। আশির দশকে সিলেটের সাথে
জাফলং এর ৫৫ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের
কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি প্রকৃতিপ্রেমীরাও ভিড় করতে
থাকেন জাফলংয়ে। জাফলং এখন দেশের সেরা পর্যটন স্পট।
অবস্থান: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট
উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট জেলা সদর হতে সড়ক পথে দুরুত্ব মাত্র ৫৬ কি.মি।
সিলেট থেকে যাতায়াতঃ
সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/
সিএনজি চালিত অটোরিক্স্রায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা।
ভাড়াঃ বাস -জনপ্রতি ৫৫ টাকা
মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা
সি এন জি চালিত অটো রিক্স্রাঃ
৭০০/ টাকা।
কোথায় থাকবেন
থাকার তেমন বেশি সুব্যবস্থা
জাফলং এ নাই। তবে যে কয়টি ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে জেলা পরিষদের নলজুরী রেস্ট হাউস(থাকতে
হলে পূর্বে অনুমতি নিতে হবে), শ্রীপুর পিকনিক স্পট উল্লেখযোগ্য। কিছু বোডিং এর ব্যবস্থা
আছে। এছাড়া শ্রীপুর ফরেস্টে এর একটি বাংলো আছে পর্যটকদের থাকার জন্য।
ভোলাগঞ্জ
ভারতের আসাম প্রদেশের রাজধানী
শিলংয়ে এক সময় লোকজন এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতো। কালের পরিক্রমায় এখানে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে রজ্জুপথ। নাম ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে। দেশের সর্ববৃহৎ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীর অবস্থানও
এ এলাকায়। রোপওয়ে, পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিদিনই
আগমন ঘটে পর্যটকদের। পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা গেলে ভোলাগঞ্জ
হয়ে উঠতে পারে দেশের সেরা ও আকর্ষনীয় একটি পর্যটন কেন্দ্র।
ভোলাগঞ্জ রোপওয়েঃ
ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া
পাহাড় থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর সাথে প্রতিবছর বর্ষাকালে নেমে আসে প্রচুর পাথর। ধলাই
নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুদ। এই পাথর দিয়ে পঞ্চাশ বছর চালানো যাবে- এই হিসাব
ধরে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভোলাগঞ্জ
রোপওয়ে প্রকল্প। বৃটিশ রোপওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পের
আওতায় ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত সোয়া ১১ মাইল দীর্ঘ রোপওয়ের জন্য নির্মাণ করা হয়
১২০টি টাওয়ার এক্সক্যাভেশন প্যান্ট। মধ্যখানে চারটি সাব স্টেশন। দু’প্রান্তে ডিজেল
চালিত দুটি ইলেকটৃক পাওয়ার হাউস, ভোলাগঞ্জে রেলওয়ে কলোনী , স্কুল,মসজিদ ও রেস্ট হাউস
নির্মাণও প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল। এক্সক্যাভেশন প্যান্টের সাহায্যে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত
স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাথর উত্তোলন করা হলেও বর্তমানে এ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
সংশিষ্টরা জানান, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব, পাথরের অপর্যাপ্ততা ও বিকল ইঞ্জিনের কারণে
দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে এক্র্ক্যাভেশন মেশিন বন্ধ রয়েছে। আগে উত্তোলিত পাথর ভাঙ্গা,
ধোয়া ও টুকরোর আকার অনুসারে বালু,স্টোন চিপস ও ট্রাক ব্যালাস্ট ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা হতো। শ্রেণী অনুসারে সেগুলো
পৃথক পৃথকভাবে বের হয়ে রোপওয়েতে ঝুলানো চারকোনা বিশিষ্ট ষ্টীলের বাকেটে জমা হতো। প্রতিটি
বাকেটের ধারণ ক্ষমতা ২৩৭ কেজি(প্রায় ১২০ফুট)। পাথর ভর্তি বাকেট পাঠানো হতো ছাতকে। স্বয়ংক্রিয়
পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ঠিকাদাররা স্থানীয়ভাবে বোল্ডার পাথর ক্রয়ের পর তা ভেঙ্গে
বিভিন্ন সাইজে বিভক্ত করে। তারপর তা বাকেটে পুরে ছাতকে প্রেরণ করা হয়। মজার ব্যাপা
হলো, এলাকাটি দেখতে অনেকটা ব-দ্বীপের মতো। ধলাই নদী বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে দু’ভাগে
বিভক্ত হয়ে প্যান্টের চারপাশ ঘুরে আবার একীভূত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের কাছে
ধলাই নদী মিলিত হয়েছে-পিয়াইন নদীর সাথে। রোপওয়ের আয়তন প্রায় একশ’ একর। আর এ কারণেই
স্থানটি পর্যটকদের কাছে এত আকর্ষণীয়।
চেরাপুঞ্জির নিচেঃ
পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল
এলাকা চেরাপুঞ্জির অবস্থান ভারতের পাহাড়ী রাজ্য মেঘালয়ে। ধলাই নদীর উজানে এ রাজ্যের
অবস্থান। খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় ঘেরা এ রাজ্যের দৃশ্য বড়ই মনোরম। ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে এলাকায়
অবস্থান করে পাহাড় টিলার মনোরম দৃশ্যাবলি অবলোকন করা যায়। বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির
পানি ধলাই নদীতে পাহাড়ী ঢলের সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মকালে অনেকে ধলাই নদীকে মরা নদী হিসাবে
অভিহিত করলেও বর্ষাকালে নদীটি ফুলে ফেঁপে উঠে।
পাথর আহরণের দৃশ্যঃ
ভোলাগঞ্জ কোয়ারীতে শুষ্ক
মওসুমে প্রধানত গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করা হয়। এ পদ্ধতিতে শ্রমিকরা প্রথমে কোয়ারীর
ওপরের বালি অপসারণ করে। পর্যায়ক্রমে গর্ত খুঁড়ে নিচের দিকে যেতে থাকে। ৭/৮ ফুট নিচু
গর্ত খোঁড়ার পর কোয়ারীতে পানি উঠে যায়। পানি উঠে গেলে শ্যালো মেশিন দিয়ে কোয়ারীর পানি
অপসারণ করে শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করে। এর বাইরে ‘শিবের নৌকা’ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন
করা হয়। এ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের উপায় হচ্ছে-একটি খালি নৌকায় শ্যালো মেশিনের ইঞ্জিন
লাগানো হয়। ইঞ্জিনের পাখা পানির নীচে ঘুরতে থাকে। পাখা অনবরত ঘুরতে ঘুরতে মাটি নরম
হয়ে পাথর বেরোতে থাকে। সংশিষ্টরা ঝঁকির সাহায্যে পাথর নৌকায় তুলে। এ পদ্ধতিতে সহস্রাধিক
শ্রমিক পাথর উত্তোলন করে থাকে। এ পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও খুব উপভোগ্য।
পাথর আহরণের দৃশ্যঃ ছবি http://www.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/237/medium/volagonj1.jpg |
ভোলাগঞ্জ ল্যান্ড কাস্টমস
স্টেশনঃ
ভোলাগঞ্জে রয়েছে একটি ল্যান্ড
কাস্টমস স্টেশন। এ স্টেশন দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলে। এ স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশী
ব্যবসায়ীরা প্রধানত চুনাপাথর আমদানী করে থাকেন। চুনাপাথর নিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক
বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্তের জিরো লাইনে এ কাস্টমস স্টেশনের অবস্থান। চুনাপাথর
আমদানির দৃশ্য অবলোকনের বিষয়টিও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়।
যেভাবে যেতে হয়:
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব
মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা
সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের
বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস।
কোথায় থাকবেন: জেলা পরিষদের
একটি রেস্ট হাউস আছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্তবধানে। থাকতে হলে উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জন্য তেমন
কোন ভাল ব্যবস্থা নাই। আপনি ভোলাগঞ্জ দর্শন শেষ করে সিলেটে এসে অবস্থান করতে পারবেন।
লালাখাল
স্বচ্চ নীল
জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য,
দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি
এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্ঠিপাতের স্থান এবং রাতের
সৌন্দর্যে ভরপুর এই লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি
নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে।
যাবার পথে আপনির দুচোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্ত সৌন্দর্য শেষ
হবে না। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। মুগ্ধ
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন নদীর পানির দিকে। কি সুন্দর নীল,
একদম নীচে দেখা যায়। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের
অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত।
কিভাবে
যাবেন:
সিলেট শহর
হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি
দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন।
বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে
আপনি যেতে পারেন।
থাকবেন কোথায়ঃ
লালাখালে থাকার তেমন কোন
সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়।
সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত
পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)